বাজালিয়ায় এক স্বামী পরিত্যাক্ত নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগনেতার বিরুদ্ধে

 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

আজ ২৪শে মে(সোমবার)বিকালে উপজেলার বাজালিয়ার ৬নং ওয়ার্ডে বোমাংহাটের উত্তর পাশে সাঙ্গু নদীর পাড়ের আব্দুস শুক্কুরের বাড়িতে গেলে এই ঘটনা সম্পর্কে গনমাধ্যমের নজরে আসে।

জানাযায়,স্থানীয় ছাত্রলীগনেতা একই এলাকার মৃত নুরুননবীর ছেলে মোঃশাকিল(২৮) তার প্রতিবেশী স্বামী পরিত্যাক্ত আব্দুস শুক্কুরের কন্যাকে প্রেমের ফাঁদে ও বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষন করে আসছিল সর্বশেষ গত গেলো সোমবার রাত ৮টায় আব্দুস শুক্কুর আর তার স্ত্রী না থাকার সুবাদে স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলাকে ধর্ষনের জন্য টানা হেচড়াঁ করলে নারীটির ভাই বাজার থেকে এসে দেখে ফেলায় সে পালিয়ে যায় বলে জানান আব্দুস শুক্কুর ও স্থানীয় কয়েকজন।

তবে স্থানীয়রা বলেন শাকিলের অন্যতম সহযোগী একই এলাকার মোঃ হামিদ।

তারা আরো জানায়, শাকিল যখন মেয়েটির কাছে যায় হামিদ তখন বাইরে পাহারা দেয়।

এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃসৈয়দ বলেন,২/৩দিন আগে মহিলাটির বাবা আমাকে শালিস দিলে আমি বৈঠকে বসি তবে আমি মেয়েটিকে বিয়ে করতে বলায় শাকিল বৈঠক থেকে ওঠে গেছে পরে আর সমাধান হয়নি।

আসলে এটা পরিষদের কোন বিচার না এবং সমাধান করার কোন এখতিয়ার ও নেই তাই আমি বয়কট করছি।

এদিকে মহিলাটির মা জানান,রমজানের আগে একবার সরাসরি আমি নিজেই দেখেছি ধর্ষন করার সময় চিল্লা চিল্লি করলে সে ওয়াল পেরিয়ে চলে যায়,তখন কাউকে বা প্রশাসনকে জানানো হয়নি কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আসলে আমরা গরীব মানুষ ভয়ে বলিনি তবে গত সোমবারেরটা সবাইকে জানিয়ে মেম্বার আমাদেরকে সময় দিয়েছে যার কারনে কালকে আর পরসু দুইবারই বৈঠক হয়েছে।

তবে এদিকে ধর্ষনে অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা মোঃশাকিল বলেন,আমি আগামি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতির কোন্দলে আমাকে বলী দেয়ার জন্য এই ধর্ষনের পায়ঁতারা,তবে মহিলাটির সাথে আমার রং নাম্বারে প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পর বাজারে দেখা হলে সুন্দর না হওয়ায় আমি নিজেই পিছপা হয়ে যাই,মেয়েটা উল্টো আমাকে ডিষ্টার্ব করছিলো।

এদিকে ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টা শুনিনি তবে এখনি দেখছি।

 

তবে বোমাংহাটের এক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন আসলে আমার মনে হয় বিষয়টা সঠিক নই,তবুও তদন্তে এসে যাবে সত্যটা।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.