ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পরিবহন

 ইবি প্রতিনিধি :নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি ফিরছেন আটকে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৬৬৪ শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে পাঁচটি বাস বিভিন্ন রোড ছেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রথমদিন(১৫ জুলাই) পাঁচটি ও দ্বিতীয়দিন (১৮ জুলাই) ৫-৬টি বাস দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হবে। গেসে ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য তালিকা তৈরি করার উদ্দেশ্যে অনলাইন গুগল শীট প্রদান করে। এই গুগল শীট পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী। তথ্য মতে ১৬ জুলাই ভোরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাসের সামনে জড়ো হন। পরে পরিচয়পত্র দেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে একে বাসে উঠানো হয়। যেসব শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র নেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমাণের জন্য যেকোনো ডকুমেন্ট তথা রেজিস্ট্রেশন কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড, ফি প্রদানের রশিদ ইত্যাদি দেখিয়ে বাসে উঠানো হয়। প্রথমদিনে শুক্রবার (১৬ জুলাই) ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি বাস ছেড়ে যায়। একটি ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে ঝিনাইদহ-রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ঘাট-মানিকগঞ্জ-ঢাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা যাবে। আরেকটি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী-মানিকগঞ্জ-ঢাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা যাবে। অন্যদিন কুষ্টিয়া-বনপাড়া-বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা যাবে। খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা। যশোর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা যাবে। যারা ক্যাম্পাস ও ঝিনাইদহ বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকে। আরেকটি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা। যশোর, খুলনা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলার শিক্ষার্থীরা যাবে। যারা কুষ্টিয়া ও ক্যাম্পাস বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকে। দ্বিতীয় দিনে (১৮ জুলাই) রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২-৩টি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে। এগুলো ক্যাম্পাস-কুষ্টিয়া-নাটোর-রাজশাহী। রাজশাহী বা এর পার্শ্ববর্তী জেলার শিক্ষার্থীরা যাবে। ঐদিন রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ২-৩টি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে। এগুলো ক্যাম্পাস-কুষ্টিয়া-নাটোর-বগুড়া-রংপুর। বগুড়া ও রংপুর বা এর পার্শ্ববর্তী জেলার শিক্ষার্থীরা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, “মূলত যারা ক্যাম্পাস, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঁটকে পড়ে গেছে তাদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরকম কার্যকরী সীদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.