প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে মানিক বৈরাগীর একক বইমেলা

ঈদগাঁও প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরিতে ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর মানিক বৈরাগীর উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী একক বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত বইমেলার সার্বিক সহযোগীতায় থাকছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা ছাত্রলীগ ও বিজয় মুখ গণসংস্কৃতিক সংগঠন । একক বইমেলার উদ্যোক্তা মানিক বৈরাগী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার একক বইমেলার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় উদ্বোধন করবেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ এবং দুইদিন ব্যাপী একক এই বইমেলা চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ,বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা পরস্পর একিভূত। হাজার বছরের পরাধীন তার গ্লানি থেকে বাঙালি জনগোষ্ঠীকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, স্বতন্ত্র জাতিস্বত্ত্বায় প্রতিষ্ঠা করতে এই জনজাতি হাজার বছর লড়াই সংগ্রামের পাশাপাশি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ভাষার লড়াই করতে হয়েছে। হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তির লড়াইয়ে এই পরাধীন জাতিকে যে মানুষ টি মুক্তির স্বাদ দিয়েছেন তিনি হলেন বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।এই জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন,দুই লক্ষ মা-বোনেরা ইজ্জত হারিয়েছেন। তবুও সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির পাশাপাশি এদেশীয় তাদের দোসরেরা বাঙালি জাতিকে আবারও পরাধীন করতে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এই বাঙ্গালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে। কিন্তু লড়াকু এই জাতিকে দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি আরো বলেন, আবারও নিজ দেশে পরাধীনতার লড়াইয়ে যে মানবী তাঁর লেখনি দিয়ে এই জাতিরাষ্ট্রের সমস্যা, সম্ভাবনা, গলদ কোথায়, কখন, কি করতে হবে তা নিয়ে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি যিনি কলমের লড়াইয়ে এখনো সচল তাঁর নাম শেখ হাসিনা। যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান। মেধাবী এই লেখক, গবেষক, দার্শনিক শেখ হাসিনার প্রকাশিত বই নিয়ে আমি প্রতি বছরের ন্যায় এইবারও একক বইমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছি। অনেকের প্রশ্ন তোমার কেন এতো দায় ? কি পেয়েছো এ রাজনীতি করে ? সবকিছুই তো হারালে ! আমি তাদের কে বলবো হারিয়েছি খুব সামন্যই কিন্তু বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার জন্য তো কিছুই করতে পারিনি। বাংলাদেশকে জানতে হলে শেখ হাসিনার বই পড়তে হবে, শেখ হাসিনার রাজ নীতি করবেন কিন্তু তার রাজনীতি, দর্শন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকবেন এটা হতে পারেনা। তথ্য প্রযুক্তির যুগে যেমন অবাধ তথ্যপ্রবাহ আছে,তেমনি ভাবে অবাধ অপতৎপর তার মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে গেলে শেখ হাসিনাকে জানতে হবে। শুধু সভামঞ্চে প্রতিদিনের চল্লিশ বছরের পুরনো বক্তব্য দিয়ে আর জনতাকে কাছে টানা যাবেনা! তবে নতুন যুগের নতুন সম্ভাবনার কথা ও বাস্তবতা দিয়ে শেখ হাসিনার রাজনীতি করতে হবে। না হয় আপনি রাজনীতি, সমাজ নীতি ও অর্থনৈতিক সংগ্রামে বিশ্ব থেকে ছিটকে পড়বেন। তাই আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আপনার সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই আপনার ঘরের ড্রয়িং রুমে একটি বুকসেল্প স্থাপন করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন ঘরে অবসরে জেলখানায় বই পড়তেন বলেই সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিতে পেরে ছেন। ঠিক তারই কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও এক পৃষ্ঠা হলেও বই পড়তে ভুলেন না। তিনি যেখানেই যান না কে কেন তার ব্যাগে তিনি বই নিতে ভুলেন না। এ কারনেই তিনি লেখক, গবেষক এবং একজন রাষ্ট্র দার্শনিক। তাই যে মানুষটি ২১বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে মহাপ্রভু তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন মানুষের কল্যানের জন্য। তাঁর লেখা বই নিয়ে একটি বইমেলাও যদি আমি করতে না পারি তাহলে আমি কিসের কবি, কিসের শেখ হাসিনার কর্মী। শেখ হাসিনা বইমেলা আরও বেশি প্রয়োজন এ কারনে আমাদের স্কুল কলেজের লাইব্রেরি সমুহে আমি দেখেছি শেখ হাসিনার লেখা প্রয়োজনীয় বইগুলো নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা শেখ হাসিনার রাজনীতি,দর্শন সম্পর্কে জানাতে হলে তাদের জন্য পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় বইয়ের প্রয়োজন। কিন্তু অনেক স্কুলের লাইব্রেরি খোলা হয়নি, অনেক স্কুল কলেজে লাইব্রেরিয়ান নাই। আশাকরি এ মেলায় থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিটি স্কুলে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে চাহিদাপত্র পাঠাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে তাদের প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করে পড়তে পারবে। এবং কক্সবাজার শিক্ষা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা) এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, শেখ হাসিনার বই নিয়ে শিক্ষার সংগ্রাম কক্সবাজার থেকেই শুরু হোক। এমনকি যারা কক্সবাজারে রাজনীতি করছেন এদের কয়জন বই পড়েন নিয়মিত ? কয়েজনে গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন ? হয়তো কয়েকজন ছাড়া তেমনটা দৃশ্যমান নেই। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে একক বইমেলা করে সকল রাজনীতিবিদদের অবহিত করার চেষ্টা করছি যেন তারাও বঙ্গবন্ধু এবং গবেষক, লেখক শেখ হাসিনার ন্যায় সুদক্ষ রাজনৈতিক কর্মী এবং নেতা হয়ে উঠুক।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.