মহেশখালীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মিছবাহ উদ্দীন আরজু, মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউপিস্থ ১নং ওয়ার্ড উত্তর নলবিলা (চালিয়াতলী) এলাকায় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আবদুল গফুর এর পুত্র নয়ন (২৬) এর বিরুদ্ধে।

থানার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল অনুমানিক ৪টার সময় মেয়ের বসত ঘরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ধর্ষিতা পিতা জানান, আমার মেয়ে চালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। আমাদের এলাকার আবদুল গফুর এর বখাটে লম্পট পুত্র নয়ন (২৬) আমার পরিবারের লোকজনের অগোচরে আমার মেয়ে আকাশ মনির সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। এমতাবস্থায় আমার মেয়ে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করিতে অনিহা প্রকাশ করলে উক্ত লম্পট নয়ন নানাভাবে শপথ করে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিত।

আমার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর বিকাল অনুমানিক ৪টার সময় লম্পট নয়ন চালিয়াতলীস্থ আমার বসত ঘরে যায় এবং আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে শপথ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর থেকে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন তারিখ, সময় ও স্থানে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে বিয়ের জন্য তাগিদ দিলে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে আমার মেয়েকে বিয়ে না করে তালবাহানা শুরু করে। অতঃপর আমার মেয়ে আমাকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে আমি ঘটনার বিষয় এলাকার গণ্যমান্য লোকজনকে অবহিত করে থানায় মামলা করি।

এসময় মেয়ের বাবা বলেন, আমি লম্পট নয়নের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই যেনো অন্য কোন মেয়ের সাথে এরূপ আচরণ করতে না পারে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য। আমি ও এলাকার সর্বস্তরের লোকজন ঐ লম্পট নয়নের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

মহেশখালী থানার অফিসার্চ ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল হাই এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্পের এস আই জহির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে এবং সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। শীঘ্রই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

চট্টগ্রাম সংবাদ/জাই

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.